সারা দেশ

কলারোয়া-দমদমা সড়কের বেহাল দশা, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাড়ছে ঝুঁকি

কামরুল হাসান,কলারোয়া(সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কলারোয়া-দমদমা পাকা সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশা। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি কলারোয়া-দমদমা হয়ে সোনাবাড়িয়া থেকে সরাসরি পশ্চিমে সীমান্তবর্তী চন্দনপুর-চান্দুড়িয়া অভিমুখী। সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর, হেলাতলা, কেঁড়াগাছি, লাঙ্গলঝাড়া, কেরালকাতা-এই ৬ ইউনিয়নের কম-বেশি মানুষের একটি অন্যতম প্রধান রুট হলো এই সড়কটি। চলতি মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিতে কলারোয়া-দমদমা সড়কটির এখন করুণ দশা। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। পানি-কাদা, খানা-খন্দকে পাকা সড়কটির এখন মুমূর্ষু প্রায় অবস্থা। নিশ্চিত ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করায় ভাঙনকবলিত এ সড়কের গর্তগুলো ক্রমশ: বিস্তৃত ও গভীর হচ্ছে। ছোট কোনো যানবাহনের চাকা এই গর্তে পড়লে আর রক্ষা নেই। তা উল্টে যাবেই। বড় গাড়ির চাকাও এই গর্তগুলো থেকে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা ছাড়া উঠবে না। বৃষ্টি চলমান থাকায় প্রতিদিনই ভাঙছে সড়ক। ছোট ছোট গর্তগুলো বড় আকার নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। লোহাকুড়ায় অবস্থিত হোমিওপ্যাথিক কলেজের পশ্চিম-উত্তর অংশে সড়কটির ভাঙন এতটাই ভয়াবহ যে, চোখে না দেখলে তা আন্দাজ করা যায় না। গর্ত, কাদা-পানিতে সড়কটি একাকার হয়ে গেছে। এই সড়কে প্রতিদিন শতশত হাল্কা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। ভাঙনকবলিত স্থানে দুই পার্শ্বে যানবাহনের সারি পড়ে যায় মাঝে মাঝে। পাশাপাশি সাইড দিতে পারে না যানবাহনের চালকেরা। বুধবার সরেজমিনে সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ভাঙন শুরু মূলত কলারোয়া পৌরসভার তুলসীডাঙ্গা হাতিভাঙা নামক কালভার্ট থেকে। এরপর কদম আলি মেস হয়ে পৌরসভার শেষ সীমা কানিপাড়া পর্যন্ত সড়কটিতে অসংখ্য ভাঙন। প্রতিটি ভাঙা স্থান পানিতে টইটম্বুর। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, পানিপূর্ণ কোন্ গর্ত কতো গভীর। এই পথে পথযাত্রা যেনো দুস্তর পারাবার হয়ে গেছে। পৌরসভা এলাকা শেষে শুরু লোহাকুড়া গ্রাম। সাময়িক শুরু হয় ভালো রাস্তা দর্শন। হোমিওপ্যাাথিক কলেজ পার হওয়ার পর পথ চলাচলে শুরু হয় এক দুর্বিষহ দুর্ভোগ। এরপর দাউদের মোড় নামক স্থানের যাত্রী ছাউনি থেকে কিছুদূর ফের ভালো রাস্তা দু’শো মিটারের মতো। আবার খারাপ রাস্তা শুরু একটি ইট ভাটা সংলগ্ন স্থান থেকে। পাকা রাস্তাটি যে শুধু ভাঙা ও গর্ত তা নয়, সেই সাথে দুর্দান্ত পিচ্ছিলও বটে। তবে এই খারাপ রাস্তার পর থেকে দমদমা নতুন বাজার, ব্রিজ পার হয়ে পুরানো বাজার হয়ে সোনাবাঢ়িযা থেকে চন্দনপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত সড়কটি প্রায় নিখুঁত বলা যায়। তবে সোনাবাড়িয়া-রামকৃষ্ণপুরের মাঝে স্থাপিত ইট ভাটার কারণে ভাটা সংলগ্ন সড়কটি কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল থাকে বৃষ্টি হলেই। সরেজমিনে গুরত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়কটির এমনই চিত্র প্রত্যক্ষ করা গেছে। ভূক্তভোগীরা জানান, আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হচ্ছে বর্ষা মৌসুম। তার আগে প্রায় ৪ কি.মি. দীর্ঘ কলারোয়া-দমদমা সড়কটি যদি সংস্কার করা না হয়, তবে তা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। পথ চলাচল হয়ে পড়বে দুর্গম, দু:সাধ্য। সকলেই চাইছেন, জরুরী ভিত্তিতে এলজিইডি’র প্রকৌশল বিভাগ পদক্ষেপ নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির মেরামত কাজ শুরু করে দিক। তা না হলে এই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে জানার জন্য মুঠো ফোনে কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যাা পর্যন্ত সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে একই বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, রাস্তাটি তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করাবেন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button