ত্রিশাল থেকে জেএমবি‘র সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪
র্যাব-১৪:: এলিট ফোর্স র্যাব সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের কর্ম তৎপরতার কারণেই সারাদেশে একযোগে বোমা বিষ্ফোরণসহ বিভিন্ন সময়ে নাশকতা সৃষ্টিকারী জঙ্গি সংগঠন সমূহের শীর্ষ সারির নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, কেউ কেউ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে এবং বেশকিছু মামলা এখনো বিচারাধীন। তবে যে সকল জঙ্গি এখনো আত্মগোপন করে আছে তাদের তৎপরতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। র্যাবের কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযানের ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা পূনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছে এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়েছে।
র্যাবের জঙ্গী বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় সন্দেহজনক জঙ্গী সদস্য ত্রিশাল থানাধীন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সংযোগ সড়ক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ০২ নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ ১২০৫ ঘটিকার সময় ত্রিশাল থানাধীন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সংযোগ সড়কের কেরানী বাড়ীর মোড়ে পৌঁছা মাত্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ সময় সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় একজনকে তার কাঁধে থাকা একটি ব্যাগসহ গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে জাহাঙ্গীর আলম শ্রাবন ,আবু শাম (২৪), জেলা-চাঁদপুর বলে জানায়। সে বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড এ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত আছে বলে জানায়। পরবর্তীতে আটক কৃত ব্যক্তির সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবি এর একজন সক্রিয় সদস্য। ধৃত আসামীসহ তার সঙ্গীরা ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে ছদ¥নাম ব্যবহার করে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভিন্ন মর্মস্পর্শী ভাষায় পোষ্ট করতে থাকে এবং সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী জসিম উদ্দীন রহমানীর মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জেএমবির কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ে বলে জানায়।
বর্ণিত আসামী ও তার সহযোগী পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তার সাথে এ সংগঠনের সক্রিয় অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।( প্রেস বিজ্ঞপ্তি)