আঞ্চলিকতাপ্রাণের বাংলাদেশ

শীতবস্ত্র কিনতে মাওনা’র ফুটপাতে ভীড়

এস এম সোহেল রানা,:-গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা শিল্প এলাকা মাওনায় শীতের তীব্রতা বেড়ে চলছে। মাওনা চৌরাস্তার ফুটপাতের দোকানগুলোতে গত কয়েক দিন ধরে শীতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা । শিল্প এলাকা হওয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাসের শেষে হাতে বেতন পেয়েই আগে ভাগেই শীতের সম্বল করে নিচ্ছেন। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক দোকানগুলোতে গত শুক্রবার ছুটির দিনে শীতের কাপড় কেনা-বেচায় দেখা গেছে নারী পুরুষের উপচে পড়া ভীড়।
ফুটপাতের দোকানদার আব্দুল জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচা-কেনা কম। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। তবে কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না।
অন্যদিকে ফুটপাতের আরো কয়েক জন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। কিছু সৌখিন ক্রেতা আসে যারা গার্মেন্টস এক্সপোর্ট কোয়ালিটির মানসম্মত পোশাক খুঁজে। ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়াটারের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ১০০ থেকে শুর করে ৩০০ টাকা, মাফলার ১০০ থেকে ২০০ টাকা,কম্বল ২০০ থেকে ৬০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যেই পছন্দের শীত পোশাকটি নেবার চেষ্টা করছে নিম্মবিত্ত মানুষেরা।
সোনিয়া নামে কর্মজীবি এক মহিলা ক্রেতা বলেন, শীত আসলে কেনা-কাটার ধুম বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত শীতের পোশাক কিনি, তারপরও অনেক কিনতে ইচ্ছে করে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিশেষ করে শিশুদের শীতের অনেক ভালো ভালো পোশাক পাওয়া য়ায়। দামের দিক দিয়েও মোটামুটি সস্তা ও আনকমন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button