জাতীয়

‘দক্ষিণাঞ্চলে হবে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় এলে দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গ্রামকে নগরে পরিণত করবো, দেশের সব গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেব। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিময় উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি তার সরকারের এই পরিকল্পানার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিতে আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা দরকার। আমরা তা নির্মাণ করবো, যার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ভৌগোলিক দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে যোগাযোগ তৈরি করবো। আমরা বাংলাদেশ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারবো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে। এ ছাড়া আমরা আরও উন্নত বিমানবন্দর নির্মাণ করবো।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর মহাকাশে নিজেদের অবস্থানকে সমুন্নত রাখতে এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আয়ুস্কাল শেষ হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বপ্নের স্যাটেলাইট নির্মাণ ও এর সফল উৎক্ষেপণে আমি গর্বিত, আনন্দিত। মহাকাশে আজ বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এ গৌরব আমাদের সরকারের, এ গৌরব দেশের ১৬ কোটি মানুষের। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ আওয়ামী লীগ সরকারের গতিশীল উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ। এই স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো।

সংসদ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করলো এক এলিট ক্লাবে। নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক দেশগুলোর এই ক্লাবে বাংলাদেশ ৫৭তম সদস্য। স্থল ও জলসীমা জয়ের পর মহাকাশ জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা। দীর্ঘ ৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গত ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ জয় সম্ভব হয়েছে। এই স্যাটেলাইট স্পেস টেকনোলজির জ্ঞানসমৃদ্ধ মর্যাদাশীল জাতি গঠনে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে বার্ষিক ১৪ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button