শিরোনামহীন

ভালুকায় আমন ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

 

ভালুকা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের ভালুকার কিছু কিছু এলাকায় আমন ধানে পোকা ও চিটা বের হওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগেও কাজ হচ্ছেনা । কৃষকরা ফসল না পাওয়ার আশংকায় দিশেহারা হয়ে পরেছেন।
উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের বাঁওয়া গ্রামে গেলে ওই গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া জানান তার ক্ষেতের বেশীর ভাগ ধান বের হওয়ার পর ছড়া গুলি মরে চিটা হয়ে যাচ্ছে। দোকান হতে পর্যায়ক্রমে বিট্রাকো, ডারসবান ২০ ইসি, ও ইরাদ ৫৫ ইসি কীটনাশক ঔষধ কিনে পর্যায়ক্রমে তিনবার ক্ষেতে দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। তিনি প্রায় এক একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। বাড়ীর পশ্চিমে আরেকটি ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমন হতে ধান রক্ষার জন্য ক্ষেতে ঔষধ দিয়েছেন ও ফাঁদ পেতে রেখেছেন। তবে ওই ক্ষেতে দেখা দিয়েছে পাতামোরা কীরার আক্রমন। বেশ কয়েকবার ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন।
একই এলাকার জুলহাস ঢালী জানান তার ৪ কাঠা জমি পোকায় ও ৬ কাঠা জমি ইদুঁের আক্রান্ত হওয়ার পর উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তার পরামর্শে ৩ বার কীটনাশক ও ইদুঁরের জন্য বেশ কয়েকবার বিষটোপ প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার মিলেনি। তার ৬ কাঠা জমির ধান ইদুঁরে কেটে নষ্ট করেছে।
ওই এলাকার চা দোকানী রব্বানী জানান তিনি ৪ কাঠা জমিতে ব্রি-ধান ৫১ জাতের আবাদ করেছেন। তার ক্ষেতেও পোকার আক্রমন দেখা দেয়ায় কয়েকবার কীটনাশক দিয়েও প্রতিকার পাননি। উপজেলার দক্ষিন হবিরবাড়ী কড়ইতলা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান তার আমন ক্ষেতে ধানের ছড়া মরে কালো চিটা হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি সহ কয়েকজন কৃষক জানান তারা দোকান থেকে কীটনাশক এনে ক্ষেতে দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। তাদের অভিযোগ কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পাওয়ায় তারা হয়তো বার বার ঔষধ দিয়েও প্রতিকার পাননি। তারা জানান ওই এলাকায় কোন কৃষি বিভাগের লোকজন ফসল দেখতে যাননি।
মাহমুদপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ বাহারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ব্রী-ধান ৫১ জাতের জীবনকাল বেশী হওয়া ও তাপমাত্রা জনিত কারনে চিটা জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে এটি কোন বালাই নয়। তিনি জানান ব্রী-ধান ৪৯ জাতের ফলন ভাল হয়েছে অপরদিকে পোকা ও ইদুঁর দমনে তারা কৃষকদেরকে কীটনাশক ও বিষটোপ ব্যাবহারের পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) নুর মোহাম্মদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button