মিডিয়া দেশ-বিদেশ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নির্মাতা খোকন

চলচ্চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। সোমবার ৪ এপ্রিল এশার নামাজের পর রাজধানীর উত্তরায় ৪ নম্বর সেক্টরে সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে আজ সোমবার জোহর নামাজের পর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর মসজিদে শহীদুল ইসলাম খোকনের প্রথম জানাজা হয়। তারপর মরদেহ নিয়ে আসা হয় বিএফডিসি প্রাঙ্গণে। এখানে তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজাটিও অনুষ্ঠিত হয় খোকনের কর্মজীবনের প্রিয় স্থানটিতে। এতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ অংশ নেন তার দীর্ঘজীবনের সহকর্মী ও বন্ধুরা।
শহীদুল ইসলাম খোকন গহ্বরের মোটর নিউরো ডিজিসে (এএলএস) আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই গুণী নির্মাতার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারও এগিয়ে আসেন। তাকে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, এ রোগের নিরাময় সম্ভব নয়। এরপর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তখন থেকেই ধানমণ্ডি ও উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল।
সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ সোমবার, ৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরলোক গমন করেন সবার প্রিয় চিত্র নির্মাতা খোকন।
দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ গুণী নির্মাতা শহিদুল ইসলাম খোকনের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘বজ্রমুষ্টি’  ‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’, ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, উত্থান পতন’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’।
আরো উল্লেখ্য, ভাষা আন্দোলন নিয়ে নির্মিত ছবির তালিকায় জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’র পর একমাত্র সংযোজন শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘বাঙলা’। আহমদ ছফার ‘ওঙ্কার’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button