উপ-সম্পাদকীয়

বজ্রপাতে মৃত্যু:বিশেষজ্ঞরা কিছু ভাবছেন …? _ সফিউল্লাহ আনসারী

চলছে বৈশাখ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।বৈশাখের আরেক আতংকের নাম বজ্রপাত।বৈশাখ নতুনের বার্তা নিয়ে আসে,আবার কখনো হয়ে কাল বৈশাখীর তুমুল ঝড়ে লন্ড-ভন্ড করে যায় প্রকৃতিকে। কাল বৈশাখী মানেই ঝড় আর বজ্রপাত।এই বজ্রপাত অনেকের জীবনে যমদূত হয়ে আসে ।গত(১২মে ও ১৩ মের)দেশব্যাপি কালবোশেখ ও বজ্রপাতে প্রায় ৬০ জন মানুষের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে।এমন ভয়াবহ মৃত্যু কারো কাম্য নয়,তারপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের এসব কারনে মানুষের অকাল মৃত্যু ডেকে আনে।বজ্রপাত স¤পর্কে আমাদের তেমন জানা আছে বলে মনে হয়না।কারন এশিয়া মহাদেশের দারিদ্র পিড়িত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন।কুসংস্কার ও অসচেতনতার কারনে গত বছরও বাংলাদেশে প্রায় দু‘শর মতো মানুষেল প্রাণ হানি ঘটেছে বজ্রপাতে।বজ্রপাত প্রাকৃতিক দুযোর্গ হলেও সচেতনতা ও কিছু বিষয়ে জানা থাকলে অনেক জীবন বেচে যেতে পারে।

একদিনে ৪৭,দু‘দিনে ৬০ জনের মৃত্যু ! ভাবা যায় ? বজ্রপাতে এত মানুষেরমৃত্যু! ইদানিং বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। কয়েক বছর আগেও বজ্রপাতে মৃত্যুর কথা তেমন শোনা যেত না।হঠাৎ বজ্রপাতের হানা কেনো ?কারন খোঁজার সাথেই সচেতনতা জরুরী। বৈশাখী ঝড়ের সাথে বর্তমানে প্রায়ই বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।..কথিত আছে- বৃটিশরা যখন এদেশ শাসন করেছে তখন নাকি সিমানার প্রান্তে এক ধরণের শক্তিশালী চুম্বকওয়ালা পিলার স্থাপন করেছে। তাছাড়া জমিদার বাড়িগুলোতে ছিল বজ্রপাত নিষ্ক্রিয় করা উপকরণ। কিন্তু এগুলো মুল্যবান হওয়া মানুষ এগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। তাই বর্তমানে বজ্রপাত গুলো সৃষ্টি হয় সেগুলো নিষ্ক্রিয় না হয়ে ভূমিতে পড়ে যার ফলে বজ্রপাতে এত মৃত্যু।যদি তাই হয় তাহলে সরকারের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।বিশ্লেষকদের মতে-প্রাকৃতিকভাবে বৃক্ষনিধন,নদীর নাব্যতা হ্রাস,ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারনে বজ্রপাতের হার বাড়ছে।বিশেষজ্ঞদের  বজ্রপাত বিষয়ে গবেষনা ও সরকারের সহাযতায় দেশের প্রতিটি উপজেলা অথবা চিত্র অংকনের মাধ্যমে দুরত্বে পরিমাপ করে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রনের জন্যে বজ্ররোধক স্থাপন জরুরী।প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের হাত না থাকলেও সচেতনার মাধ্যমে কিছুটা হলেও মানুষের অকাল প্রানহানি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।বজ্রপাত দুর্যোগটি মহামারী আকার ধারন করার আগেই এ বিষয়ে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার।যাতে বজ্রপাতে অকালেই ঝরে না যায় অসংখ্য প্রাণ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button