ঈদ মানে আনন্দ ঈদ খুশি-সফিউল্লাহ আনসারী
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ খুশি।ঈদের দিনের আনন্দ নির্মল-পবিত্র ।বিশ্ব মুসলিমের সব‘চে বড় উৎসব ঈদের আনন্দ কেবল ভোগে নয় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। অন্যের সুখ-দু:খ ভাগ করে নেওয়ার নাম ঈদ।সাম্য-মৈত্রী-শান্তি আর মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের সওগাত নিয়ে প্রতিবছর আমাদের মাঝে উপস্থিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।ঈদের দিন মুসলমানদের এক মহা সম্মেলনেরও দিন।
কবি নজরুলের ভাষায়-‘‘কারো আঁখি জ্বলে কারো ঝাড়ে কীরে জ্বলিবে দ্বীপ,দুজন হবে বুলন্দনসিব লাখে লাখে হবে বদনসিব এই নহে বিধান ইসলামের’’ ।ইসলাম ধর্মে ফিতরা ও যাকাত ব্যাবস্থা বিভেদহীন সমাজ বির্নিমানের অন্যতম সুন্দরতম সিস্টেম। মুসলিমের প্রতিদিনই ঈদের আনন্দ পাওয়ার জন্যেই যাকাত ব্যবস্থা ইসলামের নিয়ম।উঁচু নীচু, ধনী গরীব সবাই এককাতারে নামাজ আদায়ের মাম্যমে-মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ,ঐক্য,সৌহার্দ-সম্প্রীতি,ভালবাসর সর্ম্পককে সংহত করে।নবী (সঃ)বলেন ‘‘ঈদের নামাজ সমাপনকারী নিষ্পাপ অবস্থায় ঈদের মাঠ হতে নিজ গৃহে ফিরে যায় যেন তারা নবজাতক শিশুর ন্যায় হয়ে যায়’’।নবী(সঃ)বলেন‘‘প্রত্যেক জাতিরই আনন্দ রয়েছে এটি হল আমাদের আনন্দ।অার এই ঈদ উৎসব মানুষের সৃষ্ট কোন উৎসব নয়,আল্লাহর পক্ষ হতে ঈদ উৎসব নির্ধারিত।তাইতো পবিত্র ঈদুল ফিতরে রয়েছে অনাবিল আনন্দের সাথেই আধ্যাতিকতার স্বাদ।ঈদের শিক্ষায় আমাদের উচিত বিশ্ব মানবতার কল্যাণে কাজ করা।ঈদের দিনে হিংসা বিদ্বেষ ভূলে মনুষত্বের মুল্যবোধকে সমুন্নত করা।
ইসলাম শান্তির ধর্ম।ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত করতে উত্তম চরিত্র ও আদর্শ নৈতিকতাকে ধারন করে এবং রোজার শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে আমরা ঈদের গুরত্বকে বহুগুন অর্থবহ করতে পারি।
কবি কাজী নজরুলের বিখ্যাত ঈদের সংগীত আমাদের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়;করে উজ্জীবিত।বিখ্যাত কবিতা থেকে-
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্ আসমানি তাগিদ।।তোর সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্।
দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্।।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে।
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে।
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্তরিতে শির্নি তৌহিদের।
তোর দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উমীদ।।”
::ঈদ মোবারক::