এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই নারী মডেলের অভিযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুজনই বলছেন, হাঙরের মতো গিলে খাওয়া স্বভাব ট্রাম্পের! তাদের দাবি, তারা বিপদে পড়েই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্পের। আর ‘সমুদ্রে রক্তের স্বাদ পেলে যেমন হাঙরকে রোখা যায় না’, তেমনি এক সময় তাদের শিকার হতে হয়েছিল ট্রাম্পের। রিপাবলিকান প্রার্থী অবশ্য সব অভিযোগই ‘একেবারে ভুয়া’, ‘আজগুবি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন,‘আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে।’
গত বৃহস্পতিবার দুই নারীর প্রকাশ্য অভিযোগের পর শুক্রবার ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন এ দুই সাবেক মডেল। সামার জারভোস বলেছেন, অনেক দিন আগে মার্কিন টেলিভিশনে একটি রিয়্যালিটি শো চালাতেন ট্রাম্প। কোটিপতি ট্রাম্পের সেই রিয়্যালিটি শোতে আসতেন সব দামি দামি মডেল। ডলারের টানে। আর ট্রাম্পও তার খেয়ালখুশি মতো মডেল বদলে চালাতেন তার ওই রিয়্যালিটি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’। ফলে দামি দামি মডেলও হঠাৎ করেই কাজ খুইয়ে বেকার হয়ে পড়তেন। সেই সময়ের ডাকাবুকো মডেল সামার জারভোসও একদিন কাজ খুইয়ে ফেলেন ট্রাম্পের রিয়্যালিটি শো’য়ে।
জারভোস সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, কাজ খোয়ানোর পরেও আমি যোগাযোগ রেখে চলতাম ট্রাম্পের সঙ্গে। কোনো দিন যদি তার মাধ্যমে আবার আমার একটা ভালো কাজ জুটে যায়। ২০০৭ সালে একদিন ট্রাম্পই আমাকে ডেকে নেয় বেভারলি হিলসের একটি হোটেলে, ডিনারে। নিজের জন্য একটা ভাল কাজ জোটানোর আশাতেই দেখা করতে গিয়েছিলাম। দু’-চার কথার পরেই ট্রাম্প আমাকে জোর করে চুমু খেতে শুরু করে। হাত দিতে শুরু করে আমার শরীরের সর্বত্র। আমার কোমর জড়িয়ে ধরে আমাকে আধশোয়া করে ফেলে আমাকে হাঙরের মতো গিলতে চেষ্টা করে। আমি ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।
দ্বিতীয় ‘বোমা’টি শুক্রবারই ফাটিয়েছেন আরেক মডেল ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন। প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিন বলেছেন, ১৯৯০-৯১ সালের কোনো এক রাতের কথা। ট্রাম্প আমাকে একটা নাইটক্লাবে নিয়ে যান। ঢুকেই কোনো সুযোগ না দিয়ে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ল আমার ওপর। আমার একেবারেই ভাল লাগছিল না। অসহ্য লাগছিল। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। গলায় ফাঁসের মতো ট্রাম্প আমার শরীরের ওপর চেপে বসেছিল। আমাকে কোনও জামাকাপড়ই পরে থাকতে দেয়নি।
এদিকে, শুক্রবার মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওটি শুট করা হয়েছিল ট্রাম্পের তিন নম্বর বিয়ের কিছু আগে। ২০০৪ সালে। এতে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প এক জনকে বলছেন, তার দ্বিতীয় বিয়ের ঠিক আগেকার কথা। কী অসম্ভব নিষ্ঠুর ভাবে! ট্রাম্প সেখানে বলছেন, ‘আমি আমার স্ত্রী (প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্প) আর যাকে বিয়ে করব সেই নারীকে (ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলস) নিয়ে গেলাম একটা পাহাড়ে। সেখানে একটা রেস্তোরাঁয় বসে মজা দেখছিলাম। আমাকে দেখিয়ে দু’জনেই ‘ওকে ভালবাসি, ওকে ভালবাসি, তুমি কি ডাইনি’ বলে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে শুরু করল! আমার খুব ভাল লাগছিল! এই ওদের স্বভাব!’ আনন্দবাজার।