ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ- ওয়াশিংটনের বিমানবন্দরে দীর্ঘক্ষণ আটকা একলা শিশু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ইরান থেকে ওয়াশিংটনের ডালাস ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে এসেছিল পাঁচ বছর বয়সী মার্কিন এক শিশু। তার মা ইরানের নাগরিক, ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রেই। তাই আগে থেকেই সন্তানকে নিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন তিনি। তবে মার্কিন নাগরিক হয়েও ছোট্ট ওই শিশুটিকে শুরুতে দেখা করতে দেওয়া হয়নি মায়ের সঙ্গে। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাকে বিমানবন্দরেই আটকে রাখা হয়। বিমানবন্দরের একদিকে আটকা ছেলে, আরেক দিকে মা। দীর্ঘ হেনস্তা শেষে আবেগঘন পরিবেশে দেখা হয় মা-ছেলের। কেন এই হৃদয়বিদারক ঘটনা! উত্তর একটাই—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নির্বাহী আদেশ বলে শিশুটিকে আটকে রাখা হয়।
সম্প্রতি ইরানসহ সাতটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের জনগণ ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর শিশুটির মা ইরানের ও শিশুটি ইরান থেকে বিমানে যুক্তরাষ্ট্রে আসায় বিমানবন্দরে তাকে আটকে রাখা হয়।
সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই শিশুটির মা ওয়াশিংটনের গভর্নর জো ইনসলের কাছে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করলে বেশ কয়েক ঘণ্টা পর ছেলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই শিশুটির সঙ্গে মায়ের দেখা হওয়ার মুহূর্তটি উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক ক্যামেরায় ধারণ করেন। ওই সব ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, মা তাঁর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে ইংরেজিতে গাইছেন ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’। এরপর ছেলেকে বারবার চুমু খান তিনি।
তবে এ ব্যাপারে বিমানবন্দরে ওই শিশুটির মা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই শিশুটি মার্কিন নাগরিক। সে মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা।
মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন এ ব্যাপারে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আগে থেকেই ওই শিশুটির সঙ্গে তার মায়ের দেখা করার বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরও শিশুটিকে বিমানবন্দরে আটকে থাকতে হয়েছে। এ কারণে ফেসবুক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
ক্রিস ভ্যান হোলেন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এ বিষয়ে যখন সন্ধ্যায় আবার যোগাযোগ করা হয়, তখন শিশুটিকে ছাড়া হবে নাকি আটকে রাখাই হবে—এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প, তোমাকে ধিক্কার জানাই।’