শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ‘মহানুভবতা’_রাজীবুল হাসান
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না’- ভুপেন হাজারিকার সেই গানটি আজ গলা ফাটিয়ে গাইতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে করছে বলতে আরে অভাগা জাতি ভয় পাসনে-এখনও মানবতার শক্তি আছে। হয়তো আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুকে) কিংবা পত্রিকার পাতায় এই ছবিটি দেখে থাকবেন। ছবিতে কাপড়ের ভাঁজে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া এক ফুটফুটে শিশু কোলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক নারী। ছবিটি দেখে যে কেউ ভেবে বসবেন;মায়ের বুকে ফোটা এক গোলাপের কথা। এ দৃশ্যে আমিও আটকে গিয়েছিলাম। হয়তো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলে চোখে পড়বে মায়ের ভুমিকায় যে মহিলাটি উনি শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর কোলের বাচ্চাটি ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এক শিশুর সদ্য প্রসব করা সন্তান। আমাদের নষ্ট সমাজের প্রতিচ্ছবি। ভূমিষ্ঠ নেওয়া শিশুটি জানে না তার জন্মপূর্ব রোম হর্ষক ঘটনা ! জানে না তার বাবা কে! তার নিষ্পাপ আগমনকে স্বাগত জানিয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা ছিল। সেখানে নতুন একটি জামা কিংবা দুধের ফিডার কিনে দেওয়ার মত লোক পর্যন্ত নেই। জেলা প্রশাসকের পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে ভরণপোষণ করে যাচ্ছেন ইউএনও । শুরু থেকেই নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পাশে ছিলেন তিনি। শোনেছি জন্মের সময়ও তিনি মিষ্টি কিনে গভীর রাতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন । বিজয়ের মাসে জন্ম নেওয়া শিশুটির নামও দিয়েছেন বিজয়া । এতসব করেছেন যে ইউএনও তাঁর নামটা সবার জানা দরকার। দরকার রেহেনা আকতারের মত আরো বহু উপজেলা প্রশাসন কর্মাকর্তার।
রাজীবুল হাসান
সংবাদকর্মী