থাইল্যান্ডে নির্বাচন: সেনা সমর্থিত দল এগিয়ে

অনলাইন ডেস্ক : সেনা অভ্যুত্থানের পাঁচ বছর পর থাইল্যান্ডের সেনাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেড়িয়ে আসছে দেশটি। দেশটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে সেনা সমর্থিত রাজনৈতিক দল পালাং প্রাচারাত পার্টি (পিপিআরপি)।
বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসীন হতে যাচ্ছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। খবর এশিয়া টাইমসের।
এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৯৩ শতাংশ ভোট গণনা শেষ। প্রাথমিক ফলাফল হিসেবে ৭৫ লাখের বেশি ভোট নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে পিপিআরপি। কিন্তু পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করার জন্য এই ভোট পর্যাপ্ত নয়। এদিকে, পিপিআরপি’র পরেই রয়েছে নির্বাসিত সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ফিউ থাই পার্টি (পিটিপি)। বর্তমানে সুদারাত কিউরাপাহান নেতৃত্বাধীন দলটি পেয়েছে ৭০ লাখ ভোট।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছে, দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে নতুন সরকার গঠনের আগে কয়েক সপ্তাহ রাজনৈতিক জটিলতায় ভুগবে থাইল্যান্ড।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে থাইল্যান্ডে। এই নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন প্রায় ৫ কোটি ভোটার। রবিবার (২৪ মার্চ) এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৮ জন। তাদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৮ জন।
থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট ৭৫০ সদস্যের এবং দুই কক্ষ বিশিষ্ট। ক্ষমতা দখলের পর সেনাবাহিনীর শাসন ব্যবস্থায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন এনেছে।
২০১৬ সালে জারি করা নিয়মে ২৫০ আসনের উচ্চ কক্ষ সিনেটের সদস্যরা সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত। অপরদিকে ৫০০ আসনের নিম্ন পরিষদের সদস্যরা ভোটে নির্বাচিত।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে হলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের মিলিতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পাওয়ার নিয়ম। সুতরাং সামরিক সমর্থিত প্রার্থী নিম্ন পরিষদে মাত্র ১২৬ জন সদস্যের সমর্থন পেলেই নির্বাচিত হতে পারবেন।